পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে একমাসের খাদ‍্যসামগ্ৰী দিল দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

13th November 2021 10:10 pm বর্ধমান
পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে একমাসের খাদ‍্যসামগ্ৰী দিল দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা


পার্থসখা অধিকারী ( মেমারী ) : পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী -১ ব্লকের অধীন নিমো - ১ পঞ্চায়েত কার্যালয় প্রাঙ্গণ  এবং নিমো - ২ পঞ্চায়েতের সলদা বহেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পরশ পাথর এবং জনসাহস নামের দুটি  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে আজ প্রায় ১১১ জন অসহায় পরিযায়ী শ্রমিক কে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রদত্ত সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, আটা, মুগ ডাল, মসুর ডাল, চিনি, সরষের তেল, সাদা তেল, সাবান, দাঁত মাজার পেস্ট, দাঁত মাজার ব্রাশ, হলুদ, লংকা, নুন, ধনে, চা, আমুল দুধ, সয়াবিন, স্যানিটাইজার ন্যাপকিন এবং মাক্স প্রভৃতি। উপস্থিত ছিলেন 
নিমো - ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা মাঝি, উপপ্রধান জাহির হোসেন,  যুব সভাপতি  সৌদিপ সিংহ রায়, সমাজসেবী মহাদেব নাড়ু  জন সাহস সংস্থার 
সদস্য বৃন্দ এবং পরশপাথর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সকল সদস্যবৃন্দ। এই খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার পর গ্রাহক পরিযায়ী শ্রমিকরা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, প্রায় এক মাসের জন্য আমাদের চিন্তা দূর হলো।
পরশ পাথর এবং জন সাহসকে আমরা অভিনন্দন জানাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। পরশ পাথরের পক্ষে অপূর্ব সু জানান, পরশপাথর প্রায় সারাবছরই বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সমাজের দুঃস্থ মানুষদের পাশে থাকে। জন সাহস সংস্থার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্জুন মুখার্জী জানান, জন সাহস সারা দেশ জুড়েই অসহায় মানুষদের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করে থাকে। প্রয়োজনে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য যে কোন মানুষ আমাদের টোল ফ্রি নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের টোল ফ্রি নম্বর টি হলো ১৮০০২০০০২১১।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।